গত
পোস্টে আমি রাশির পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। আজ চেষ্টা করব রাশির এক ধরনের
শ্রেণীবিভাগ নিয়ে আলোচনা করার। বৈশিষ্ট্য অনুসারে সকল রাশিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা
যায়। এক ধরনের রাশিকে বলে ভেক্টর রাশি আর অন্য আরেক ধরনের রাশিকে বলে স্কেলার
রাশি। আজকের পোস্টের আলোচ্য বিষয় হলো ভেক্টর রাশি।
ধরুন,
পলাশ(P) এর বাসা (A অবস্থান) থেকে র্পূব, উত্তর র্পূব এবং পশ্চিম দিকে যথাক্রমে B,
C ও D নামক তিনটি স্থান রয়েছে। A স্থান থেকে উল্লেখিত প্রতিটি স্থানের দুরত্ব
50মিটার।
একদিন
পলাশ(P) তার বাসার কাছে (Aঅবস্থানে) দাড়িয়ে আছে। এমন সময় রাজিব (R) পলাশের নিকট
এসে C নামক স্থানটির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলো। পলাশ রাজিবকে বলল যে, C নামক
স্থানটি এখান থেকে 50মিটার দূরে। এতে রাজিব দ্বিধায় পড়ে গেল। সে চিন্তা করতে
লাগেলো 50 মিটার দূরত্বে সে কোন দিকে যাবে? পুনরায় রাজিব পলাশের কাছে জানতে চাইলো
50মিটার দূরত্বে তাকে কোন দিকে যেতে হবে। এবার পশাল রাজিবকে বলল আপনাকে মোটামুটি
উত্তর-পূর্ব দিকে 50মিটার যেতে হবে। রাজিব পলাশকে ধন্যবাদ জানিয়ে চলে গেল।
উপরের
কাল্পনিক ঘটনাটি থেকে বোঝা যায় যে, রাজিব ১ম বার যখন পলাশের নিকট C স্থানটির
অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল তখনই যদি পলাশ C স্থানটি কত দূরত্বে ও কোন দিকে
অবস্থিত তা বলতো তাহলে C স্থানটির অবস্থান সম্পর্কে রাজিব প্রথমেই একটি পরির্পূণ ধারণা
পেয়ে যেত। তাকে আর ২য় বার প্রশ্ন করতে হতো না।
অতএব
বলা যায় যে, কোন স্থানের (A) সাপেক্ষে অন্য কোন স্থানের (C) অবস্থান এমন একটি রাশি
যার সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা পেতে হলে দূরত্বের একটি সংখ্যাবাচক মান এবং সেই
সাথে দিক সম্পর্কে জানতে হয়। এই ধরনের রাশিকে ভেক্টর রাশি বলে। এরূপ বৈশিষ্ট্য
সম্পন্ন আরও অনেক রাশি রয়েছে যাদেরকে ভেক্টর রাশি বলে। যেমন- সরণ, বেগ, ত্বরণ, বল, ওজন, ভরবেগ, তড়িৎ ক্ষেত্র
প্রাবল্য ইত্যাদি।
আজ
এখানেই শেষ করছি। আগামী পোস্টে ভেক্টর রাশি সংক্রান্ত আর একটি উদাহরণ নিয়ে আপনাদের
সামনে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ।
ভাল উদ্যোগ। এগিয়ে যান। ধন্যবাদ আপনার এই প্রচেষ্টার জন্য।
উত্তরমুছুনস্যার, অভিকর্ষ ত্বরন সম্পকে একটি পোষ্ট দেন
উত্তরমুছুন