বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

রাশি ও পরিমাপ

এই মুহূর্তে যিনি পোস্টটি পড়ছেন তাঁকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় আপনার মনিটরের সাইজ কত? আপনার হয়তো তা জানা আছে বা জানা না থাকলেও কোন সমস্যা নেই। আপনি একটি স্কেল দিয়ে স্ক্রিনের কোনাকোনি পরিমাপ করে বলে দিতে পাবেন এটির সাইজ 19.5 ইঞ্চি বা অন্য কোন সংখ্যা। আপনার হয়তো জানা আছে যে,
মনিটরের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে আপনার চোখকে রক্ষা করার জন্য মনিটর থেকে আপনার চোখ একটি সঠিক দূরত্বে থাকতে হয়। এই দূরত্বও কিন্তু আপনি সহজেই স্কেল দ্বারা পরিমাপ করতে পারবেন। ধরুন আপনার কোন বন্ধু আপনার বাসায় বেড়াতে এসে জানতে চাইলো আপনার পিসির র‌্যাম কতটুকু। আপনি কিন্তু বুঝে ফেলেছেন আপনার বন্ধুটি জানতে চাইছে আপনার পিসির র‌্যামের মোট ধারণ ক্ষমতা কতটুকু। অবশ্যই পরিমাণটা আপনার জানা আছে। হয়তো তা ১ গিগাবাইট বা ২ গিগাবাইট হবে। আপনি যদি বাজারে গিয়ে দোকানিকে ১ কেজি মাছ মেপে দিতে বলেন, দোকানি সহজেই একটি দাড়িপাল্লা দিয়ে আপনাকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ মাছ মেপে দিতে পারবে। আপনি একদিন পার্কে হাটছিলেন, হঠাৎ এক ভদ্রলোক আপনার কাছে সময় জানতে চাইলো। আপনি আপনার মোবাইলের স্ক্রিন থেকে দেখে ভদ্রলোককে তখনকার সময় জানাতে পারবেন।
 
এতক্ষণ আমি ভৌত জগতের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য (মনিটরের স্ক্রিনের সাইজ, দূরত্ব, র‌্যামের মেমোরি বিট ধারণক্ষমতা, ভর ও সময়) এর কথা বললাম যেগুলোকে পরিমাপ করা যায়। এই পরিমাপযোগ্য ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলোকেই বলে রাশি (Quantity)। এরূপ আরো অনেক পরিমাপযোগ্য ভৌত বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন- প্রসেসরের ক্লক স্পিড, র‌্যাম এর বাস স্পিড, হার্ড ডিস্কের ডাটা ট্রান্সফার রেট, তাপ, তাপমাত্রা, চাপ, আয়তন, বল, ওজন, কাজ, সরণ, দ্রুতি, বেগ, ত্বরণ, মন্দন, বৈদ্যুতিক বিভব, তড়িৎ ক্ষেত্র ইত্যাদি।

কোন রাশির পরিমাণ নির্ধারণ করাকেই বলে ঐ রাশির পরিমাপ। যেমন- মনিটরের স্ক্রিনের সাইজের পরিমাণ হলো 19.5 ইঞ্চি। র‌্যামের ডাটা ধারণ ক্ষমতার পরিমাণ হলো ২ গিগা বাইট। আবার চোখ থেকে মনিটরের দূরত্বর পরিমাণ হলো ৩ ফুট।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন